আঞ্চলিকভাবে এর নাম লাফা বেগুন।বিশেষ প্রজাতির এই বেগুন দেখতে গোলাকার, কিন্তু দেহ মসৃণ নয়; অনেকটা ঢেউ খেলানো খাজকাটা। সাইজ বেশ বড়। এর একটি বেগুনের ওজন এক-দেড় কেজি থেকে তিন-চার কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বিশেষ করে বড়া, ভাজি, ভর্তা, সবজি হিসেবে এই বেগুনের জুড়ি মেলা ভার।ময়মনসিংহের গফরগাঁও, মানিকগঞ্জ, দিনাজপুরে এটি বেশি চাষ হয়।
বেগুন ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’, ‘ই’ এবং ‘কে’ সমৃদ্ধ সবজি।বেগুনে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।এই সবজিতে কোলেস্টেরল বা চর্বি নেই।পাকস্থলী, কোলন, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদান্ত্রের ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে।ক্ষতস্থান শুকাতে সাহায্য করে বেগুন।প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই সবজিতে, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর ভূমিকা অনেক।শিশুরা সবজি খেতে পছন্দ করে না। তাদেরকে খিচুড়ির সঙ্গে বেগুন মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এতে শিশুদের শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ হবে।
যাঁরা অ্যালার্জির জন্য ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া বেগুন না খাওয়াই ভালো।